নিজ ক্যাম্পাসে ট্রাক চাপায় নিহত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গ্রাফিক ডিজাইন, কারুশিল্প ও শিল্পকলার ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী মাহমুদ হাবিব হিমেলের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
আজ বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে নাটোর সদরের গাড়িখানা কেন্দ্রীয় গোরস্তানে তাকে দাফন করা হয়।
এর আগে হিমেলের মরদেহ দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে নাটোর শহরের কাপুড়িয়া পট্টি নানাবাড়ি এলাকায় পৌঁছে। মরদেহের সাথে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য গোলাম সাব্বির সাত্তারসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ ও শিক্ষার্থীরা। মরদেহ নেয়া হয় স্থানীয় একটি স্কুল প্রাঙ্গণে। এ সময় নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা, পৌর মেয়র উমা চৌধুরী ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পরে উপাচার্যের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ নিহত হিমেলের মা ও নানার সাথে দেখা করে তাদের সান্ত্বনা দেন। এ সময় হিমেলের মা মনিরা আক্তারের হাতে ৫ লাখ টাকার চেক তুলে দেন উপাচার্য। একই সাথে তিনি তাদের সহযোগিতার আশ্বাস দেন। পরে উপাচার্য সাংবাদিকদের সাথে কথা বলে শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণসহ নিহতের পরিবারকে সব ধরনের সহযোগিতার কথা জানান।
উল্লেখ্য, গতকাল মঙ্গলবার রাত পৌনে ৯টার দিকে মোটরসাইকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের হবিবুর হলের সামনের রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় নির্মাণ সামগ্রী বহনকারী একটি ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে নিহত হন হিমেল। এ ঘটনায় আহত হন মোটরসাইকেলের পেছনে থাকা তারই বন্ধু রায়হান রিমেল। আহত অবস্থায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩১ নাম্বার ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়।
এর প্রতিবাদে দুর্ঘটনাস্থলের পাশে থাকা ৫টি ট্রাকে ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেন শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন সামগ্রীতে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা।
কলমকথা/বি সুলতানা
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।